১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ -এ যুদ্ধবিদ্ধ¯ Í ¯া^ ধীন বাংলাদেশের মানুষের মুে খ দু’বেলা ভাত আর পরনে মোটা কাপড়ের নিশ্চয়তা বিধান করাই মুখ্য হয়ে ওঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম-নির্দেশনায়। দেশের সিংহভাগ দরিদ্র মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনের ভাবনাই প্রতিভাত হয়ে উঠতো তাঁর প্রতিটি সভা-সেমিনারের বক্তৃতায়। দীঘর্ িদনের শোষণ আর বঞ্চনার শিকার হতে মক্তু এ নতুন জাতিসত্ত¡ার উন্মেষে জাতিকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলাই ছিল তাঁর একমাত্র স্বপড়ব। বিশ ¦ নেতৃত্বে ঈষর্ণ ীয় ¯া’ ন করে নেয়া বঙ্গবন্ধ ু ¯প^ ড়বডানায় ভর করে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই হারিয়ে গেলেন জাতির জীবন থেকে। কিন্তু রেখে গেলেন নিজেরই রক্ত¯ড়বাত আদর্শ উত্তরসুরী, যিনি দুর্বিষহ ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে চলা বিশ^ রাজনৈতিক অঙ্গনের আলোকিত মুখ আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতা উত্তর দেশ গঠনে ক্ষুদ্রঋণের সাফল্যের ঝুড়ি যতোটা সমৃদ্ধ হয়েছে ঠিক ততোটাই পিছিয়ে রয়েছে দরিদ্র মানুষের জীবনমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপলব্ধি করলেন, ক্ষুদ্রঋণ প্রান্তিক পর্যায়ে অর্থপ্রবাহ সৃষ্টি করলেও দরিদ্র মানুষের ভাগ্যোনড়বয়নে তেমন কোন ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছেনা। পারিবারিক দুঃসময় দেখা দিলে ঋণের টাকায় কেনা ভ্যানগাড়িটি বা গাভীটি বিμি করে দেন গরিব ঋণগ্রহীতা । তারপর আবার কোন জরুরি প্রয়োজনে অথবা ঐঋণ শোধের চাপে আবারো নতুন করে ঋণ পেতে দ্বার¯ ’ হন অন্য কোন ক্ষুদ্রঋণদাতার কাছে। এভাবেই ক্ষুদ্রঋণের মোটা আস্তরণের নিচে চাপা পরে যায় গরিবের ভাগ্যোনড়বয়নের স্বপড়ব,যেখান থেকে আর বেরোনোর কোন পথ খোলা থাকে না দরিদ্র মানুষের। ক্ষুদ্রঋণের জালে আটকে থাকা দরিদ্র মানুষের মুক্তি দিতে নিজস্ব সঞ্চয়ে ¯া^ বলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপেড়বর বাস্তবায়ন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ‘ক্ষুদ্র সঞ্চয় মডেল’। সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের উপর সরকারী উৎসাহ অনুদানে সৃষ্ট তহবিলে পুুঁজি বৃদ্ধিকরণে ঘুর্ণায়মান অর্থ বিনিয়োগে তৈরি ¯া’ য়ী পুঁজি নির্ভরতায় গড়ে উঠা প্রতি গ্রামে গঠিত উনড়বয়ন সমিতি এখন দরিদ্র মানুষের ভাগ্যোনড়বয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের প্রয়োজনে নিজেরাই পুঁজি বন্টন এবং আদায় প্রμিয়ার সাথে সরাসরি জড়িত থেকে গ্রামীণ অর্থনীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এই ‘ক্ষুদ্র সঞ্চয় মডেল’। যা আগামীর জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস